দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) :
লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত শহীদদের স্মরণে রোপিত গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠে চুনতি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আবুল খায়ের এর পুত্র মোজাম্মেল হক (৫০), শহিদুল্লাহ এর পুত্র সাইফুল্লাহ ফারুকী(৪০), মাহবুব আলীর পুত্র সিরাজুল আরেফিন আজাদ টুলুজ(৪৫) সহ অজ্ঞত নাম ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে।
গত ৫ অক্টোবর উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের বড় মিয়াজি পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এবিষয়ে মিয়াজির পাড়ার মোহাম্মদ জাফর সাদেক এর পুত্র আবু হুরাইরা বাদী হয়ে উক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর চুনতি ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিবাদীদ্বয় বাঁধা প্রদান করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এপর্যায়ে রোপনকৃত গাছের চারা উপড়ে ফেলে ফেলে দেয়। এবং কর্মসূচির ব্যানার ভেঙে দেয়।
এ প্রসঙ্গে বড় মিয়াজি পাড়ার একজন সচেতন নাগরিক এবং গোলাম বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার শাহাব উদ্দিন বলেন, “এ অপকর্মে যে বা যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড এলাকার শান্তি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।”
অগ্রগ্রাহীর অভিভাবক পরিষদের সদস্য আবু হুরাইরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে আক্রমণ আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। অপরাধীরা শুধু অগ্রগ্রাহীর কর্মসূচিকে ব্যাহত করেনি, বরং আমাদের শহীদদের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করেছে। আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অগ্রগ্রাহীর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাদ উদ্দিন নোমান বলেন, “শহীদদের স্মরণে রোপিত গাছের চারা উপড়ে ফেলা একটি হিংস্র ও অমানবিক কাজ। এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সরাসরি আক্রমণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়, যেন দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী হোসাইন মাহমুদ তামিম বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, সামাজিক ন্যায় বিচার ও সুশৃঙ্খলতা ফিরিয়ে আনার জন্য, কিন্তু দুঃখের বিষয় ফ্যাসিবাদের দেসররা এখনো আধিপত্য বিস্তারের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে, গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অতি দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোজাম্মেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুর রহমান বলেন, গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।